গত ইং ০২/১১/২০১৯ তারিখ একটি বিকাশ প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার বাসিন্দা মোছাঃ উর্মি আক্তার-কে ফোন করে বিকাশে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। উক্ত ঘটনায় মোছাঃ উর্মি আক্তার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ করলে, গৌরীপুর থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৬/১১/২০১৯ ইং ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিদের্শে মামলাটি ডিবি তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডিবির একটি টিম এসআই(নিঃ) মোঃ শামীম আল মামুন নেতৃত্বে এএসআই(নিঃ) মোঃ জুয়েল মিয়া সহ তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মানিকগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য মো মাইকেল (৩১) ও ডিএমপি ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে মোঃ ইউসুফ ওরফে ইমনদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। ধৃত আসামীদ্বয় প্রতারণার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
জনসাধারণকে যেভাবে প্রতারিত করেঃ-
১। প্রথমে তারা সহজ পথ অবলম্ব করে অন্ধকারে ঢিল ছোরে যেমনÒ বলে আপনার নম্বর বিকাশ কিনা? আমি কিছু টাকা পাঠাবো”এভাবেই সহজে তারা জেনে নেয় আপনার নম্বর বিকাশ কিনা।
অতঃপর মোবাইলের play stor হতে বিকাশ এ্যাপস ব্যবহার করে আপনার নাম্বারে মেসেজে (বার্ত) দিয়ে-৬ কোডের একটি কোড নম্বর পাঠায়। তখন তারা অন্য নাম্বার দিয়ে ফোন করে বিকাশ কোম্পানীর লোক পরিচয় দিয়ে আপনাকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিষেধ করে এবং আপনার ফোনে যাওয়া মেসেজে ৬ সংখ্যার কোড জানতে চায়।
২। একটি ভূয়া মেসেজ পাঠিয়ে বলবে আপনার নাম্বারে টাকা গেছে ফেরত দেন। তখন আপনি ব্যালেন্স না দেখেই টাকা পাঠানো শুরু করেন। এভাবেই প্রতারক প্রতারিত করে থাকে। সকলে সর্তক থাকুন। কারণ বিকাশ কখনো পিন নাম্বার ও ভেরিফিকেশন বা কোড নাম্বার জানতে চায় না।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম-
১। মোঃ মাইকেল মিয়া (৩১)
পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া
মাতা-মোছাঃ মনোয়ারা বেগম
সাং-পিপুলিয়া, থানা-হরিরামপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ।
২। মোঃ ইউসুফ ওরফে ইমন (২৭)
পিতা-মোঃ ইউসুফ শেখ
মাতা-মোঃ কমলা খাতুন
সাং-ডুমাইন পশ্চিম পাড়া, থানা-মধুখালি, জেলা-ফরিদপুর।